অপহরণ কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্ৰেপ্তার করলো পুলিশ

29th January 2021 9:55 pm বর্ধমান
অপহরণ কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্ৰেপ্তার করলো পুলিশ


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) :  কিডনাপে জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করলো বর্ধমান থানার পুলিশ এবং যিনি অপহৃত হন তাঁকেও পুলিশ উদ্ধার করেছে। মালদা ইংলিশ বাজারের এক বেসরকারি হোটেল থেকে, পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেসরকারি কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার সুজিত কুমার চক্রবর্তী গত ২৭ তারিখ সন্ধ্যের দিকে অপহৃত হন। তারপর ওই বেসরকারি কোম্পানীর এক আধিকারিকের কাছে মুক্তিপন চেয়ে ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গে ওই কোম্পানীর তরফে বর্ধমান থানার পুলিশকে জানায় ও অভিযোগ দায়ের করে। তারপর পুলিশ তদন্তে নেমে ফোন কলের সূত্র ধরে মালদা জেলার ইংলিশবাজারের একটি হোটেল থেকে অপহৃত হওয়া ব্যাক্তিকে বর্ধমান থানা পুলিশ উদ্ধার করে এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন মালদা জেলা পুলিশ আর সেখান থেকেই  চার জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিনহা রায় জানিয়েছেন, “২৭ তারিখ সন্ধ্যের দিকে সুজিত কুমার চক্রবর্তী নামে ওই ব্যাক্তি অপহৃত হন। অভিযোগ পাওয়ার পরই ২৪ ঘন্টার মধ্যে মালদা জেলার ইংলিশবাজারের একটি হোটেল থেকে সুজিতবাবুকে উদ্ধার করা হয় এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত চারজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি মালদা জেলার পুকুরিয়া থানা এলাকায় বাড়ি এবং বাকি দুজনের ওই জেলারই মানিকচক এলাকায় বাড়ি। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হবে। কিডনাপ হওয়া ব্যাক্তি কর্মসূত্রে গোদা এলাকায় থাকতেন। ওই ব্যাক্তির বাড়ি হুগলী জেলার মানকুন্ডু এলাকায়। ঘটনার তদন্ত চলছে। “ পুলিশ সূত্রে খবর ওই বেসরকারি কোম্পানীর একটি  অফিস বর্ধমান শহরের রেনেসাঁ এলাকায় রয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিনকার মতো ২৭ তারিখে সুজিতবাবু গাড়ি করে  বর্ধমানের গোদা এলাকায় যেখানে থাকেন সেখানেই ফিরছিলেন। সুজিতবাবুর ফোনে একটি পরিচিতর ফোন আসায় তিনি শহরের নবাবহাটে নেমে কোম্পানীর ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তারপরই তিনি কিডনাপ হয়ে যান।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।